শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ বছর ধরে নেই বার্ষিক বিবরণী

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বাৎসরিক কার্যক্রম সংক্রান্ত ‘বার্ষিক বিবরণী’ প্রকাশ হচ্ছে না ২১ বছর ধরে। প্রতিবছর এই বিবরণী বের করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতরের তথ্য শাখার। নিয়ম থাকলেও কী কারণে তা প্রকাশ হচ্ছে না, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিন্ডিকেট পর্ষদের নির্দেশনায় প্রতিবছর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই বিবরণী প্রকাশ করতে হয়। এই বিবরণীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক প্রায় সব তথ্য দিতে হয়। কিন্তু বছরের পর পর অধ্যাদেশের এই ধারা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে চবি কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ বার্ষিক বিবরণী প্রকাশিত হয় ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে। এরপর আর কোনো বিবরণী প্রকাশ করেনি চবি। সবশেষ ১৯৯৮-৯৯ ও এর আগের ১৯৯৭-৯৮ সালের দুই বার্ষিক বিবরণীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের যাবতীয় বাৎসরিক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে।

কয়েকটি বার্ষিক বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক পাসের হার, মোট ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা এবং হলভিত্তিক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও হলের সাংগঠনিক এবং ক্রীড়া ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের তালিকা, প্রতিটি বিভাগের গ্রন্থাগারে বইয়ের তালিকা ও সংখ্যাও দেওয়া হয়েছে। বিবরণীতে বিভাগের শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি কতজন শিক্ষক দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য গিয়েছেন, সে তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে বিবরণীতে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি কলেজ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তথ্যও সংযুক্ত ছিল এসব বিবরণীতে।

সবশেষ ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে প্রকাশিত বিবরণী চবি’র বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এতে বিভাগের আয়োজনে সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, সভা ও সম্মেলনের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই বার্ষিক বিবরণীতে রেজিস্ট্রার দফতরের প্রতিটি শাখার দায়িত্ব ও দফতরের কোন শাখার কী কাজ, তাও উপস্থাপন করা হয়েছে।

ওই বছরের পর থেকে আর আলোর মুখ দেখেনি চবি’র বার্ষিক প্রতিবেদন। এ সংক্রান্ত দায়িত্ব চবি রেজিস্ট্রার দফতর শাখার হলেও এ বিষয়ে তারা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কোনো উদ্যোগই নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা বলছেন, বার্ষিক বিবরণীতে এমন কিছু তথ্য থাকে যা কর্তৃপক্ষ গোপন করতে চায়। মূলত এ কারণেই বিবরণী বের করা হয় না। এ বিষয়ে উপাচার্যের পক্ষ থেকেও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি গত দুই দশকে।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিবাকর বড়ুয়া বলেন, সর্বশেষ বার্ষিক বিবরণী বের হওয়ার পর দীর্ঘ সময় অনেকজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার এই অফিসে কাজ করে গেছেন। আমাকে এখানে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গত বছর। এই মুহূর্তে বার্ষিক বিবরণী কেন বের হয় না, আমার জানা নেই । এই বিবরণীর যাবতীয় নির্দেশনা দেন রেজিস্ট্রার।

বিবরণী কেন বের করা হয়নি— জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারও রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘কেন বের করা হচ্ছে না, আমি নিজেও তা জানি না। আমি দেখে বলতে পারব।’

ভয়েস/আআ

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION